29 C
Dhaka
মার্চ ২৯, ২০২৪
Bangla Online News Banglarmukh24.com
অপরাধ জাতীয় নারী ও শিশু

বয়ফ্রেন্ড ও ইয়াবার টানে ঘর ছাড়ছে তরুণীরা

অনলাইন ডেস্ক ::

উখিয়ার উচ্চ শিক্ষিত যুবক রাসেল (ছদ্ধনাম)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ ডিগ্রী নিয়ে ঘরে ফিরেছে। ছেলে গ্রাম থেকে বিয়ে করার ইচ্ছে প্রকাশ করে। ভালো বেতনে চাকরিও করে সে। বাবা-মা তার একমাত্র ছেলের জন্য পাত্রী খুঁজছেন। কিন্তু অভিভাবকরা এনজিওতে চাকরিরত মেয়েদের ঘরের বৌ হিসেবে পছন্দ করছেন না। উখিয়ার অভিজাত এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারের অনেক মেয়ে এখন এনজিওতে কাজ করেন। শিক্ষা দীক্ষায় পারিবারিক ঐতিহ্য, সম্মানে সুন্দরী হয়েও এনজিওতে চাকরির কারণে সম্মানহানি ঘটছে তাদের। ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাও, সিলেটসহ দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এসে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন এনজিওতে চাকরি

করছেন। এনজিওতে চাকরিরত তরুণীরা প্রতিদিন সন্ধ্যায় বয়ফ্রেন্ড ও ইয়া’বার টানে ঘর ছাড়ে। বয়ফ্রেন্ড এমনকি তাদের বস এবং চাকরির সুবাদে সদ্য পরিচয় হওয়া যুবকের সঙ্গে রাতও কাটায়। উখিয়ার বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ভাড়া থাকলেও ট্রেনিংয়ের অজুহাতে প্রতি সপ্তাতে তিন চার দিন তারা কক্সবাজারে চলে যায়। এরা কোনো পেশাদার প্রমোদবালা নয়, অধিকাংশই উচ্চ শিক্ষিত। দুর থেকে আসা তরুণীরা এখানে অভিভাবকহীন। বেপরোয়া চলাফেরায় তাদের কোনো বাধা নিষেধ নেই। তারা প্রচুর বেতন পায়। বয়ফ্রেন্ডের পাল্লায় পড়ে অনেক তরুণী এখন ইয়া’বায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। ক্যাম্পের কাজ শেষে মেয়েটি নির্দ্বিধায় ভাড়া বাড়ি থেকে বের হয়। টার্গেট কোনো বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ইয়া’বা খাওয়া। কক্সবাজারের নামিদামি হোটেলগুলোকে তারা নিরাপদ স্থান হিসেবে বেঁছে নিয়েছে। বসকে খুশি করতে অনেক সময় বাধ্য হয়ে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছেন।

ক্যাম্পে আসা-যাওয়ার পথে গাড়িতে পরিচয় হলে তার সঙ্গে রাত কাটাতে যায় কক্সবাজারে। বিকেল হতে সন্ধ্যা পর্যন্ত উখিয়ার বিভিন্ন ষ্টেশনে বয়ফ্রেন্ডের হাত ধরে সিএনজি রিজার্ভ করে তারা বিভিন্ন হোটেলে চলে যায়। অনেক সময় সন্ধ্যায় উখিয়ার বিভিন্ন দোকান ও ষ্টেশনে আড্ডা দিতে দেখা যায়। সাতটার পর আর দেখা যায় না। ততক্ষণে তারা কক্সবাজারে বয়ফ্রেন্ড বা সদ্য পরিচয় হওয়া যুবকের সঙ্গে কাঙ্ক্ষিত গন্তব্যে অবলীলায় হারিয়ে যায়। শিক্ষিত এনজিও তরুণীরা চাকরির ফাঁকে এই মরণ নে’শা ইয়া’বা ও অনৈতিক কাজে আসক্ত হয়ে পড়ে। সেদিকে দেখার কেউ নেই। উখিয়ার সচেতন মহলের মতে, ইয়া’বা আসক্ত তরুণ-তরুণীরা জীবিত থেকেও মৃত। প্রয়োজনের চাইতে বেশি টাকা হাতে

থাকায় এবং ইয়া’বা ও যৌ’নতায় নীলদংশনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এসব তরুণ-তরুণীরা। স্থানীয় ভালুকিয়া পালং এলাকার নুরুল আলম বলেন, উখিয়া, কোটবাজার, মরিচ্যা, বালুখালি, থাইংখালিসহ পুরো উপজেলাব্যাপী সন্ধ্যা হলেই উখিয়ার প্রত্যন্ত এলাকায় এনজিওতে কর্মরত তরুণীদের চলাফেরা নজর কাড়ে পথচারীদের। এরা চায়ের দোকানে বয়ফ্রেন্ডের সাথে পা তুলে বসে আড্ডা দেয়। দেশের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে আসা এনজিও তরুণীদের বেপরোয়া জীবনযাপন নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ দিবস আজ

banglarmukh official

পাওনা টাকা ফেরত পেলো ইভ্যালির আরও ১০০ গ্রাহক

banglarmukh official

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ বড় চ্যালেঞ্জ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

banglarmukh official

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ

banglarmukh official

পুলিশ সপ্তাহ-২০২৪ শুরু

banglarmukh official

৩৪ থেকে ৭০ পয়সা বাড়ছে বিদ্যুতের দাম

banglarmukh official