বিএমআই রিসার্চ (বিজনেস মনিটর ইন্টারন্যাশনাল) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গবেষণা করে থাকে। সাম্প্রতিককালে সংস্থাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে গবেষণা করে। গবেষণায় প্রাধান্য পায় দেশের আসন্ন সংসদ নির্বাচন। গত কয়েক দশক ধরে দেশের নির্বাচনে প্রধান দুটি দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে দেখা যাচ্ছে মূল নির্বাচনী প্রচারণায়।
তাদের গবেষণায় জানা যায়, এবার নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ এগিয়ে থাকবে। জনগণ উন্নয়নকেই এগিয়ে রাখবে। আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের জন্য কাজ করেছে। দেশের জন্য কাজ করেছে। জনগণ চায় দেশের উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন। আওয়ামী লীগ জনগণের আশা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ভর্তুকি, কৃষি ও পল্লী উন্নয়ন খাতে বরাদ্দের পরিমাণ আগের বছরের তুলতায় যথাক্রমে ২৭.৯, ২৪.৮ ও ৮.৯ শতাংশ বাড়িয়েছে। এটা ভোটারদের সমর্থন আদায়ে ভূমিকা রাখবে বলে গবেষণা সংস্থাটি মনে করছে।
বিএমআই সংস্থা মনে করছেন, খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে কারাবাসে যাওয়ার পর দলের অবস্থা অনেকটা ভঙ্গুর পর্যায়ে আছে। ফলে বিএনপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ অনুভব করবে। জনগণ তাদেরকে দেশের কাণ্ডারি হিসেবে মেনে না নেয়ার একটি সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন। মে ও জুন মাসে খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বড় ব্যবধানে জয়ের মধ্যেও বিএনপির সমর্থন কমার আভাস দেখছে বিএমআই রিসার্চ।
স্বল্পমেয়াদী রাজনৈতিক সূচকে বাংলাদেশের স্কোর এবার একশতর ভেতরে ৫৮.১। নির্বাচন প্রাসঙ্গিক সহিংসতার আশংকা করছে সংস্থাটি। এমনকি, ২০১৪ সালের মতো বিএনপির নির্বাচন বর্জনেরও সম্ভাবনা দেখছে বিএমআই। এখন শুধু অপেক্ষা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের।