33 C
Dhaka
জুলাই ১২, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জাতীয় রাজণীতি

লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়ে সাংবিধানিক ক্যু করার কথা জানালেন সিনহা

একের পর এক প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সরকারকে বিব্রত করার জন্য দেশের সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার চেষ্টার কমতি ছিল না। এবার তার একটি ভুলের কথা মার্কিন সরকারের কাছে জানিয়ে ফেঁসে গেছেন তিনি। জানা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য দেশটির ‘অ্যানেক্সি’ ফরমে বাংলাদেশে সাংবিধানিক ক্যু-এ জড়িত থাকার লিখিত স্বীকারোক্তি দিয়েছেন পদত্যাগী সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা।

সম্প্রতি এস কে সিনহা ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল’, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। সেখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন সাবেক এই প্রধান বিচারপতি। প্রতিটি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার পর যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে। প্রাথমিক অনুসন্ধানের বাতিল হয়ে গেলে সেখানেই শেষ রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন।

তবে প্রাথমিক অনুসন্ধান শেষে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার বিষয়ে অধিকতর অনুসন্ধানের জন্য আরও তথ্য চায়।এই তথ্য চাওয়া হয় ‘অ্যানেক্সি’ ফরমে। সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকেও এই অ্যানেক্সি ফর্ম পূরণ করতে বলা হয়। ফরমে ৭- ৮ টি প্রশ্ন ছিল। প্রশ্নগুলোর মধ্যে ছিল, কেন সরকার তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত, তাঁর কোনো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা ইত্যাদি। এ সময় সুরেন্দ্র কুমারের পক্ষ থেকে ষোড়শ সংশোধনী রায় দেওয়ার পরের পরিস্থিতি কথা উল্লেখ করা হয়। এ পর্যায়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে জানতে চাওয়া হয়, এই রায়তো তিনি একা দেননি, অন্য কয়েকজন বিচারক এতে যুক্ত ছিলেন। তাঁদের কোনো সমস্যা না হয়ে শুধু তাঁর একাই কেন সমস্যা হচ্ছে।

এরপরই সুরেন্দ্র কুমার সিনহা মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে জানান, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। তিনি সংবিধানের আলোকে গণতন্ত্র পুনপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করেছিলেন। এস কে সিনহা বলেন, ষোড়শ সংশোধনীর আলোকে বর্তমান সংসদকে অবৈধ এবং নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার জন্য তিনি, ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে কাজ করেছেন।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে লিখিত দেওয়ার মধ্যে দিয়ে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নিজেই স্বীকার করলেন যে, সাংবিধানিক ক্যু-এর সঙ্গে তিনি এবং ড. কামাল জড়িত ছিলেন। একই সঙ্গে এর মাধ্যমে আরও প্রমাণ হলো, ষোড়শ সংশোধনী রায় মূল ব্যাপার ছিল না। এই রায়ের মাধ্যমে বর্তমান সংসদকে অবৈধ ঘোষণা করা এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনার চক্রান্ত হয়েছিল। এই চক্রান্তের কথা জানার পর এবং সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে তদন্তের অভিযোগগুলোর বিষয়ে হাতেনাতে প্রমাণ পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে সরে যেতে হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

আইন-বিধি মেনে কাজের গতি বাড়ানোর তাগিদ

banglarmukh official

আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যার বিচার ৭ দিনের মধ্যে শুরু হবে: আইন উপদেষ্টা

banglarmukh official

শুক্রবার কক্সবাজার যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক, দ্রুত বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ

banglarmukh official

২০২৬ সালেই বাংলাদেশকে এলডিসি থেকে উত্তরণ করা হবে

banglarmukh official