চলতি বছরের নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বাংলাদেশ-মিয়ানমার জয়েন্ট ওয়ার্কিং কমিটির মিয়ানমার প্রতিনিধিদলের নেতা ও দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে। একই সাথে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নাগরিত্বসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে বুধবার কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৫ কমিউনিটি হলে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব এ আশ্বাস দেন। এ সময় জয়েন ওয়ার্কিং গ্রুপের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতা পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নানসহ দু’দেশের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ে বলেন, নভেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া শুরু করবে। প্রথমে শনাক্তকৃত ৫ হাজার রোহিঙ্গা ও পরে দুই হাজার রোহিঙ্গাকে পর্যাক্রমে ফেরত নিবো।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সংক্রান্ত দু’দেশের জয়েন্ট ওয়াকিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠক শেষে প্রতিনিধিদল আজ কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সাথে কথা বলতে আসেন। বেলা ১১টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এসে প্রথমে ক্যাম্প কর্মকর্তাসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন। পরে আশ্রয় নেয়া শতাধিক রোহিঙ্গা নেতাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় রাখাইনের বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনার পাশাপাশি প্রত্যাবাসনের শর্ত হিসেবে রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন দাবি দাওয়া তুলে ধরেন। এ সময় মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলের নেতা মিন্ট থোয়ে তাদের দাবি দাওয়া মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং বিবেচনার আশ্বাস দেন। সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিং করার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া হিন্দু রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করেন।
এর আগে, প্রত্যাবাসনের জন্য গঠিত জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় বৈঠকে যোগ দিতে মিয়ানমার প্রতিনিধি দলটি দুইদিন আগে ঢাকায় পৌঁছেন। ঢাকায় তৃতীয় বৈঠক শেষে আজ বুধবার সকালে মিয়ানমারের ১৬ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজার বিমান বন্দর হয়ে উখিয়ার কুতুপালং রাহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন। এ সময় ক্যাম্পে অবস্থানরত শতাধিক রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলেন। পরে বিকালে ঢাকায় ফিরে যান প্রতিনিধি দলটি।