ইরানের তেলমন্ত্রী বিজান নামদার জাঙ্গানে বলেছেন, বিশ্বের তেল ক্রেতা দেশগুলোর জন্য কঠিন দিন আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি দেশকে ইরানের কাছ থেকে তেল কেনার অনুমতি দিলেও তা আন্তর্জাতিক তেল বাজারের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে না।
বুধবার গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
ইরানের তেলমন্ত্রী আরও বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সহযোগীরা প্রথমে ইরানের তেল বিক্রি শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিলেও এখন তারা স্বীকার করছে যে আন্তর্জাতিক তেলের বাজার থেকে ইরানকে দূরে রাখা সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি দেশকে নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখলেও বাজারে যে ঘাটতি রয়েছে তা পূরণ হবে না। এ কারণে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেবে এবং তেল ক্রেতা দেশগুলো কঠিন সমস্যায় পড়বে।
ট্রাম্প মধ্যবর্তী নির্বাচনে ভোট পেতে নিজ দেশে কৃত্রিমভাবে তেলের দাম কমিয়ে রেখেছেন বলে তিনি জানান।
তেলমন্ত্রী বলেন, বেশি দিন কৃত্রিম উপায়ে তেলের দাম কমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। কয়েক মাসের মধ্যেই তেলের দাম বেড়ে যাবে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও ইতালিসহ আটটি দেশকে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইরান থেকে তেল কেনার অনুমতি দিয়েছে।
গত সোমবার থেকে ইরানের তেল ও ব্যাংকিং খাতে দ্বিতীয় ধাপের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে ট্রাম্প প্রশাসন।
গত মে মাসে ট্রাম্প ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা থেকে অবৈধভাবে বেরিয়ে যাওয়ার পর ইরানের তেল বিক্রি শূন্যে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্পের ঘোষণাকে গুরুত্ব না দিয়ে বিশ্বের অনেক দেশই ইরানের তেল কেনা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে অনেক আগেই।