গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৯’ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ আইনের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, এটা হুবহু রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আইনের মতো। ওটাকে ফলো করা হয়েছে। এটাতে তেমন নতুন কিছু নেই। ওখানে যা আছে এখানে তাই কপি করা হয়েছে। এখানে কতগুলো জিনিসকে অপরাধ হিসেবে মনে করা হয়েছে- ইমারত নির্মাণ, জলাধার খনন, উঁচু ভূমি ইত্যাদির বিষয়ে যে বিধিনিষেধ আছে তা অমান্য করলে অপরাধ হবে। অননুমোদিত নির্মাণাধীন স্থাপনা অপসারণ ও এতে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের একটা প্রভিশন করা হয়েছে।’
খসড়া আইন তুলে ধরে শফিউল আলম বলেন, ‘নিম্নভূমি ভরাট করলেও এটার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা আছে। খেলার মাঠ, উন্মুক্ত মাঠ, উদ্যান ও প্রাকৃতিক জলাধারের শ্রেণি পরিবর্তন করলেও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হবে। দেয়াল অপসারণ না করার দণ্ড আছে। অবৈধ নির্মাণ করলে তা অপসারণ না করলে তার শাস্তি রয়েছে। অনেকগুলো অফেন্স এখানে আনা হয়েছে। এগুলো সিমিলার অন্য আইনেও আছে।’
হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুমোদন
‘হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৯’র খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে অন্য যে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আছে, এটিও সেগুলোর মতো একই আইন। অন্যান্য জায়গায় যে বিষয়গুলো আছে এখানেও একই বিষয়গুলো আছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে আচার্য থাকবেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি। এটা পরিচালনার জন্য উপাচার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ে লোক থাকবেন।’
‘এ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাথমিকভাবে তিনটি অনুষদ থাকবে- কৃষি অনুষদ, মৎস্য অনুষদ এবং প্রাণি চিকিৎসা ও প্রাণিসম্পদ বিজ্ঞান। প্রয়োজন মনে করলে এর সঙ্গে আরও অনুষদ বাড়ানো যাবে’ বলেন শফিউল আলম।
হবিগঞ্জের যে কোনো জায়গায় এ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়টি হবে বলেও জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।