27 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
জেলার সংবাদ বরিশাল

ঝালকাঠিতে ৪০০ লোহার সেতুর মধ্যে ২০০ টি ভাঙ্গা, এক একটি সেতু যেন মরন ফাদ

স্টাফ রিপোর্টার//তানজিম হোসাইন রাকিব:

ঝালকাঠি জেলায় বিভিন্ন সময় নির্মিত লোহার সেতুগুলো একের পর এক ভেঙে যাওয়ায় গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এলজিইডির আওতাধীন জেলার ৪০০ লোহার সেতুর মধ্যে ২১৪টিই ব্যবহারের অনুপযোগী। এর মধ্যে অর্ধশত সেতু বিধ্বস্ত।

এই সেতুগুলোর মধ্যে বেশ কটি ২০০৭ সালে সিডরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। এলজিইডি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। নব্বইয়ের দশকে নির্মিত এসব সেতু পরে সংস্কার কিংবা প্রতিস্থাপন না করায় জেলার চার উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার পোনাবালিয়া খালের ওপর নির্মিত লোহার সেতুটি ২০০৭ সালের সিডরে বিধ্বস্ত হয়। পরে ভাঙা অংশে স্থানীয়রা কাঠের পাটাতন, বাঁশ ও সুপারিগাছ বিছিয়ে যোগাযোগ চালু রেখেছেন। জেলায় বিভিন্ন সময় বিধ্বস্ত এ ধরনের সেতুর সংখ্যা অন্তত পঞ্চাশটি। নড়বড়ে, ব্যবহার অনুপযোগী ঝুঁকিপূর্ণ লোহার সেতু রয়েছে আরও ১৬৪টি।

এসব সেতুর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। কোথাও বিকল্প ব্যবস্থায় নৌকায় আবার কোথাও ঝুঁকি নিয়ে এসব সেতুর ওপর দিয়েই লোকজন যাতায়াত করছেন। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, রোগী ও পণ্যবহন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। ঝালকাঠি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্য মতে, ১৯৯৫ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত জেলায় লোহার ৪০০টি সেতু নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি সহায়তায় এসব সেতুর কয়েকটি সংযোগ সড়ক সংস্কার করা হলেও সিডরে বিধ্বস্ত ২০টি সেতু এক যুগেও সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণ করা হয়নি।

এসব সেতুর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো নলছিটির টেকেরহাট-পোনাবালিয়া সংযোগ সেতু। এ সেতুটিই স্থানীয়দের জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। তা ছাড়া এ সেতুর পশ্চিম পাশে কে খান মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পোনাবালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হওয়ায় স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। পোনাবালিয়া গ্রামের বাসিন্দা রিয়াদ খান বলেন, ‘২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে সিডরে এই সেতুর পূর্বপাশের বাজারের অংশ ভেঙে যায়। আজ পর্যন্ত সেতুটির কোনো সংস্কার হয়নি। আমরা স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ ও সুপারিগাছ দিয়ে কোনোভাবে যাতায়াত করছি।’ ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার ৫০ শয্যার আমুয়া হাসপাতালে যাতায়াতের প্রধান সড়কে আমুয়া খালের ওপর অবস্থিত লোহার সেতুটির মাঝের অংশ প্রায় দেড় বছর আগে বালুভর্তি কার্গোর ধাক্কায় ভেঙে যায়। এরপর স্থানীয়রা দুই পাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রাখতে বাঁশ ও সুপারিগাছ দিয়ে মেরামত করে কোনোভাবে যাতায়াত করছেন। বন্ধ হয়ে গেছে অ্যাম্বুলেন্সে রোগী আনা-নেওয়া।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি এলজিইডির জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী নূর উস শামস বলেন, উপজেলা প্রকৌশলীদের কাছ থেকে বিধ্বস্ত ও ভাঙা সেতুগুলোর তালিকা এনে ঢাকায় প্রকল্প পরিচালক বরাবর পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেতুগুলোর সংস্কারকাজ শুরু হবে।

সম্পর্কিত পোস্ট

বরিশালে যুবলীগ কর্মীর তাণ্ডব: মা-মেয়েকে কুপিয়ে জখম

banglarmukh official

সাতলায় বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকের বিরুদ্ধে আ’লীগ নেতা মিজানকে অর্থের বিনিময়ে দলীয় সনদপত্র প্রদান করার অভিযোগ

banglarmukh official

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রাম পুলিশের বসত ঘরে ভাংচুর

banglarmukh official

এসএসসি পরীক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ উপহার দিলো ছাত্রদল

banglarmukh official

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু মারা গেছে

banglarmukh official

শিশু আছিয়ার জানাজায় অংশ নিতে মাগুরায় মামুনুল-হাসনাত-সারজিস

banglarmukh official