বানারীপাড়ায় পৌর শহরের সরকারী খাল উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছেন উপজেলা প্রশাসন। গত তিন দিন ধরে পৌর শহরের লঞ্চঘাট ও বন্দর বাজারের ফেরী ঘাট এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ এবং এসিল্যান্ড বকুল চন্দ্র কবিরাজ’র নেতেৃত্বে এ অভিযান পরিচালোনা করা হয়। পর্যায়ক্রমে ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায়ও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ।
এ বিষয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের সরকারী খালগুলো বেদখল হয়ে যাওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির পানি জমে নাগরীকরা চরম দূর্ভোগে পড়েন। এক্ষেত্রে ভূক্তোভোগীরা দীর্ঘ দিন ধরে উক্ত খালগুলো সরকারী ভাবে উদ্ধার করার জন্য দাবী করে আসলেও সংস্লীষ্ট কর্তৃপক্ষ তাতে কর্নপাত করেননী। ফলে বর্ষা মৌসুম এলেই পৌর শহরের পশু সম্পদ অধিদপ্তরের সামনের মূল সড়কের পাশাপশি বাস স্ট্যান্ড, থানার সামনের পোষ্ট অফিস সড়ক ও ময়দার মিল সংলগ্ন নাজিরপুর সড়ক সহ বন্দর বাজার এলাকার পাশাপশি নি¤œাঞ্চে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও ভূমী দখলদাররা সরকারী খাস সম্পত্তিতে মালিকানা দাবী করে লঞ্চঘাট ও বন্দর বাজার এলাকায় একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মান করার পর সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। পরে সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অবিযান শুরু করেন এবং প্রায় অর্ধশত অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দেন।
এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ ও এসিল্যান্ড বকুল চন্দ্র কবিরাজ’র নেতেৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় তারা অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করার পাশাপশি সরকারী ভাবে বরাদ্ধকৃত শতাধিক চান্দিনা ভিটির (প্লট) দাগ ক্ষতিয়ান অনুযায়ী জরিপ করে বাৎসরিক ইজারাদার দোকানীদের বুঝিয়ে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ জানান, বন্দর বাজার এলাকায় সরকারী খাস সম্পত্তি উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। এছাড়াও পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডের বেদখল হওয়া খালগুলো পর্যায়ক্রমে উদ্ধার করা হবে।
তিনি আরও জানান, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের এ অভিযান সুধুমাত্র পৌর শহরেই নয়। এর আগেও সৈয়দকাঠী ইউনিয়নের সরকারী খাল উদ্ধারে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার অপর ৭টি ইউনিয়নেও এ অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও তিনি জানান।