স্টাফ রিপোর্টার//তানজিম হোসাইন রাকিব:
সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে বরিশালের চকবাজারে বিক্রি হচ্ছে এলপি গ্যাস ও সিলিন্ডার। এমনকি ক্রোকারীজ দোকানসহ কাপড়ের দোকানেও এখন চলছে গ্যাস সিলিন্ডারের জমজমাট ব্যবসা। প্রশাসনের কোন ধরনের তদারকি না থাকায় লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডারের ব্যবসা বেড়েছে।
এর ফলে মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চকবাজারে কাজী ব্রাদার্স, কাজী এন্টারপ্রাইজ,আব্দুল লতিফ খান ক্রোকারীজ,চিশতিয়া ক্রোকারীজ স্টোর্স, মৌসুমী এন্টারপ্রাইজ, এম.এ.রশিদ স্টোর্স,সুভাষ ক্রোকারীজসহ ১০টি দোকানের প্রায় সব দোকানে এলপি গ্যাস ও সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলোর ২য় তলায় লাইসেন্স ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছাড়াই চলছে এ ব্যবসা। লাইসেন্স আছে এমন গ্যাস ও দাহ্য পদার্থ ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারের দোকানে দোকানে সিলিন্ডার সরবারহ করছেন।
সংশ্লিষ্ট তথ্য মতে, বিস্ফোরক আইন ১৮৮৪-এর দ্য এলপি গ্যাস রুলস ২০০৪ এর ৬৯ ধারার ২ বিধিতে বলা হয়েছে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ক্ষেত্রে এলপিজি গ্যাস মজুদ করা যাবে না। একই বিধিতে ৭১নং ধারায় বলা আছে, আগুন নেভানোর জন্য যথেষ্ট পরিমাণ অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি রাখতে হবে। এই আইন অমান্য করলে সংশিষ্ট ব্যবসায়ীর দুই বছর ও অনধিক ৫ বছরের জেল, ৫০ হাজার টাকা দণ্ড এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত আরও ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। তবে আইনের বিশেষ ফাঁক ফোকর থাকায় তা কাজে লাগাচ্ছেন এসব ক্রোকারীজ ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া গ্যাস সিলিন্ডার বোতলে মেয়াদ উর্ত্তীণের্র তারিখ লেখা নেই। চকবাজারের আব্দুল লতিফ খান ক্রোকারীজ ব্যবসায়ী শিবলাল দত্ত বলেন, ‘গ্যাস স্টোভ বিক্রির সময় দুএকটি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করি।তাছাড়া ফায়ার সার্ভিস মারফত লাইসেন্স দেওয়া হযেছে।’ বরিশাল ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশন অফিসার মোঃ আলাউদ্দীন বলেন- গ্যাস মজুদ ও বিক্রি করে তারা চরম অন্যায় করছে। বাণিজ্যিক ও আবাসিক এলাকায় এসব কাজ কররে শিগগির তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরুজ্জামান বলেন- ‘লাইসেন্সবিহীন গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া ক্রোকারীজ মালামালের সাথে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার বিক্রির কোন অনুমোদন দেওয়া হয় না।