সম্মেলনের এক বছর পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হয়েছে সোমবার। এরপর থেকেই পদবঞ্চিতরা এবং যোগ্য পদ না পাওয়া অনেকেই বিদ্রোহ করেছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাকিম চত্বর ও মধুর ক্যান্টিনে হামলার শিকার হয়েছেন কয়েকজন নারী নেত্রী। কমপক্ষে ১৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এমনকি বিদ্রোহীদের রক্তাক্ত করেও ক্ষান্ত হয়নি পদপ্রাপ্ত ও তাদের অনুসারীরা। নারীনেত্রীদের শারিরীক ও মানসিক ভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে কমিটি ঘোষণার পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে এমন মারামারির ঘটনা শুনে মর্মাহত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও ছাত্রলীগের অভিভাবক শেখ হাসিনা। তিনি এই কমিটিতে কিভাবে এত বিতর্কিতরা ঠাঁই পেলো? সে বিষয়ে জানতে চেয়েছেন। গণভবনের একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদপ্রাপ্ত সবার বিষয়ে পূঙ্খানুপুঙ্খভাবে খোঁজ নিতে গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশও দিয়েছেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে কলংকমুক্ত করতে নিজেই উদ্যোগ নিয়ে এবারের কমিটিতে শীর্ষ নেতাদের বাছাই করেছিলেন শেখ হাসিনা। এরপর তারা কিভাবে বিবাহিত, বিএনপি-জামায়াত পরিবারের সন্তান, মাদক ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে নানা কারণে বিতর্কিতদের এই কমিটিতে ঠাঁই দিয়েছে এবং কোনো অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে কেউ পদ বাগিয়ে নিয়েছে কিনা সে বিষয়েও তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যদি তদন্তে পদপ্রাপ্ত কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ হয় তাহলে তাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া হবে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছেন শেখ হাসিনা।
এদিকে, ইতিমধ্যেই ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে অর্থ নিয়ে পদ না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও কমিটি ঘোষণার পর থেকেই কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলছেন না গোলাম রাব্বানী। তাকে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকেও ফোনে পাওয়া যায়নি।