27 C
Dhaka
জুলাই ৭, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
আন্তর্জাতিক

হুয়াওয়ের সাথে না পেরেই হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র

নিউজ ডেস্ক:

যুক্তরাষ্ট্রে হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করা, চাপ প্রয়োগ করে গুগলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি বাতিলের পিছনে ফাইভজিতে আধিপত্য বিস্তারকে কারণ হিসেবে দেখছেন অনেক বিশ্লেষক।

হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে তাদের স্মার্টফোন এবং অন্যান্য ডিভাইসের মাধ্যমে তথ্য হাতিয়ে নেবার মতো অভিযোগ করে যুক্তরাষ্ট্র। দীর্ঘ দিন থেকেই এমন অভিযোগের পর গত ১৫ মে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটিকে কালো তালিকাভুক্ত করেন যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই শুরু হয় হুয়াওয়ের সঙ্গে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বাণিজ্য সম্পর্কচ্ছেদ। কিন্তু এর পিছনে বড় একটি কারণ রয়েছে বলে তুলে ধরছেন খাতটির বিশ্লেষকরা। তাদের দাবি, ফাইভজির দৌড়ে বিশ্বে এখন হুয়াওয়ের যে অবস্থান তাতে বাধ সাধতেই এমন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৮ সালে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই চীনা জায়ান্ট হুয়াওয়ে তাদের ফাইভজির জন্য যন্ত্রাংশ কিনেছে সাত হাজার কোটি ডলারের।

কিন্তু সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় বাজার থেকে কিনেছে মাত্র ১১০০ কোটি ডলারের পণ্য। বাকিটা চীন থেকে আমদানি করেছে হুয়াওয়ে। যুক্তরাষ্ট্র হুয়াওয়ের এমন কেনাকাটায় শুরু থেকেই বাধা দিয়ে আসছিল বলে জানান অনেক সংবাদমাধ্যম। স্থানীয় বাজার থেকে কেনাকাটা বাড়াতে হুয়াওয়েকে চাপ অব্যাহত রাখতেও কৌশল নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট দাবি করে, হুয়াওয়ে ফাইভজির ক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করেছে। এরা যেসব যন্ত্রাংশ দিয়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক গতে তুলছে সেটি যেমন শক্তিশালী, তেমনই আবার টেকসই। দামেও অনেকটাই নাগালের ভিতরে। ফলে বাজার দখলে এগিয়ে হুয়াওয়ে। বলা হচ্ছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেই যদি ফাইভজি নেটওয়ার্ক দেয়া যায় তবে সেটা দেশটিতে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের জিডিপি হয়ে দাঁড়াবে।

আর কমপক্ষে আড়াই লাখ মানুষের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে ফাইভজিকে কেন্দ্র করে। এই পরিমাণ অর্থ এবং কর্মসংস্থান যদি যুক্তরাষ্ট্র ধরে রাখতে চায় তবে নিজের দেশের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফাইভজি দিতে হবে। সেখানেই কৌশলে হুয়াওয়েকে চাপে ফেলা হয়েছে বলে জানাচ্ছে সাউথ চাইনা মর্নিং পোস্ট। বিবিসির এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে হুয়াওয়ের ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিস্তারের গল্প। সেখানে যুক্তরাজ্যের এক নিরাপত্তা গবেষক জানান, অনেকেই এখন হুয়াওয়েকে ঝুঁকিপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করেন। তারা মনেই করেন যে, হুয়াওয়ে চীনা প্রতিষ্ঠান, তাই তারা অন্য দেশের ডেটা চুরি করবেই।

কিন্তু ঘটনা তো তেমন নয়। বরং তারা বিশ্বস্ত। যুক্তরাজ্যে সবকিছু পরীক্ষা করার পরেই তার ফাইভজির কাজ করতে পারছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার অনেক আগে থেকেই হুয়াওয়ের বিরুদ্ধে তাদের যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস দিয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ এনেছে। দেশটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুয়াওয়েকে হুমকী বিবেচনা করে। তারা মনে করে, হুয়াওয়ে চীন সরকারের কাছে তাদের ডেটা তুলে দেয়। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের এমন দাবি বারবার নাকোচ করে এসেছে হুয়াওয়ে।

তারা বলেছেন, হুয়াওয়ে স্বতন্ত্র্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। এটি কখনো চীন সরকারের হয়ে কাজ করে না। আর গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগও নাকোচ করে এসেছে চীনা টেকনোলজি জায়ান্টটি।

সম্পর্কিত পোস্ট

দিল্লির ঘরে ঘরে জ্বর!

banglarmukh official

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মি দেড় শতাধিক যাত্রী উদ্ধার, ২৭ সন্ত্রাসী নিহত

banglarmukh official

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেন হাইজ্যাক, জিম্মি শতাধিক

banglarmukh official

আইসিইউ থেকে পালালেন ‘কোমা’য় থাকা রোগী, হাসপাতালের ভয়ঙ্কর জালিয়াতি ফাঁস

banglarmukh official

গাজা দখলের যে কোনো প্রচেষ্টা প্রতিহত করতে হবে: তুরস্ক

banglarmukh official

মালয়েশিয়ায় বিনোদন কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশিসহ আটক ৮০

banglarmukh official