পানি সঙ্কট মোকাবিলায় মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ঝুঁকির কারণে পানি সঙ্কট মোকাবিলাসহ কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের দীর্ঘমেয়াদী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মহাপরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক।
মঙ্গলবার (১৮ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত এম. আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে সংসদকে এসব তথ্য জানান পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প নেবে সরকার, এতে ব্যয় হবে প্রায় ২ লাখ ৯৭ হাজার ৮০০ কোটি টাকা।
নাছিমুল আলম চৌধুরীর অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ এর আওতায় প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের সব জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) গৃহীত হয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে। দেশের ৬৪ জেলার অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের ২য় পর্যায়ের আওতায় নতুন নতুন খাল অন্তর্ভুক্ত করার লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে যাচাই-বাছাই কাজ চলমান রয়েছে।
বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে জাহিদ ফারুক বলেন, দেশের বিভিন্ন নদীর ভাঙন থেকে জেলা, উপজেলা, পৌর, শহর, বাজার, হাট এবং ঐতিহাসিক ও জাতীয় জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ রক্ষার্থে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আসছে। এ লক্ষ্যে একটি মহাপরিকল্পনা গ্রহণের কাজ চলমান রয়েছে। ৩টি প্রধান নদী যমুনা, গঙ্গা ও পদ্মার ভাঙন রোধকল্পে সর্বমোট ৫৭ কি. মি. নদী তীর প্রতিরক্ষা কাজ, ৮৯ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে ৮৬৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়নাধীন রয়েছে; যা ২০১৪ সালের এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এবং ২০২০ সালের জুনে সম্পন্ন হবে।
বাংলাদেশের ভূ-খণ্ড রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানচিত্রে সদ্য স্থান পাওয়া লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলাধীন সাবেক পাটগ্রাম ছিটমহল এবং পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলাধীন সাবেক নাজিরগঞ্জ ও দইখাতা ছিটমহল এলাকায় নদী তীর ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদ্যোগে ২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে।