কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে জেলেদের জালে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে বিষাক্ত পোটকা মাছ। কয়েকদিন ধরে সাগরের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলেদের জালে এ মাছ আটকা পরছে। এই মাছ বিষাক্ত জেনে জাল থেকে ছাড়িয়ে সাগরে কিংবা উপকূলের তীরে ফেলে দিচ্ছেন তারা। এ মাছ বাণিজ্যিক ভাবে একেবারেই গুরুত্বহীন বলে একাধিক ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।
এলাকা ভেদে এর আরও অনেক নাম আছে। যেমন- পোটকা মাছ, ট্যাপা মাছ, ফোটকা মাছ ইত্যাদি। এ মাছটির শরীরে স্পর্শ করলে অনেকটা বেলুনের মতো হয়ে যায়। তাই এদের বেলুন মাছও বলা হয়ে থাকে। এর বৈজ্ঞানিক নাম টেট্রাডন কুটকুটিয়া। এদের বেশ কয়েকটি প্রজাতি রয়েছে। ইংরেজিতে বলা হয় পাফার ফিশ। সামুদ্রিক মাছ হলেও এদের কিছু কিছু নদীতেও বাস করে। এ মাছটিকে স্থানীয়রা পোটকা মাছ বলেই চিনেন। জানা গেছে, পোটকা মাছের দেহে বিষ রয়েছে। মাছটি খেলে মানুষের মৃত্যু হয়। এই ক্ষতিকর দিক জেনে এ মাছটি কেউ খাচ্ছে না। তবে এ মাছ শিকার বন্ধে জেলেদের প্রশিক্ষন ও পোটকা সম্পর্কে সাধারন মানুষের মাঝে ধারনা তুলে ধরার আহ্বান জানিয়েছেন জেলে সংশ্লীষ্ট ব্যবসায়ীরা। এদিকে জাপানিরা এ মাছটিকে বলে ফুজু ফিশ। তাদের কাছে এটি অতি মূল্যবান একটি খাবার।
জেলে জাহিদুল মোল্লা বলেন, তাদের জালে প্রায়ই পোটকা মাছ ধরা পরে। এ মাছগুলো বাণিজ্যিকভাবে একেবারেই গুরুত্বহীন জেনে তারা সাগরে ফেলে দিয়েছে। তবে অনেক জেলেদের এ মাছ সম্পর্কে ধারনা নেই বলে তিনি জানান। একাধিক মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, মাছটি ক্ষতিকারক। তাই ক্রয় করা হচ্ছেনা। এই মাছ খেয়ে অনেক মানুষ মারা যাওয়ার খবরও শুনেছেন তারা। কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মনোজ কুমার সাহা জানান, পোটকা মাছটা বেশি কুয়াকাটা ও মহিপুরে পাওয়া যায়। এ মাছে একটি বিষক্রিয়া রয়েছে। যা খেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আমরাও সাধারন মানুষদের এ পোটকা মাছ না খাওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।