আসামের এনআরসি (সংশোধিত নাগরিক তালিকা) থেকে বাদ পড়া বাসিন্দাদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দেয়ার ঘোষনা দিয়েছেন রাজ্য কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (৩১ আগস্ট) স্থানীয় সময় সকাল ১০টার কিছু পরে ওয়েবসাইটে এই নাগরিক পঞ্জির চূড়ান্ত তালিকাটি প্রকাশ করা হয়। যেখানে আগের তালিকায় প্রায় ৪০ লাখ বাসিন্দাকে বাদ দেওয়া হলেও এবার রাষ্ট্রহীন করা হয়েছে অন্তত ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ বাঙালিকে। তাছাড়া স্বীকৃতি মিলেছে প্রায় ৯ কোটি ১১ লাখ বাসিন্দার।
ভারতীয় গনমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদের তথ্য মতে, এই তালিকা প্রকাশের পর পরই এক বৈঠকে বসেন জেলা কংগ্রেসের নেতারা। বৈঠক শেষে আইনি সহায়তা দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করেন রাজ্যের হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি জয়নাল উদ্দিন লস্কর।
এর আগে গত শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জেলা কংগ্রেস সভাপতির নেতৃত্বে প্রথম দফা বৈঠক করেন দলীয় কর্মকর্তারা। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আইন, আদালত এবং হ্যাজেলার প্রতি তাদের এখনো পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। তাই আমরা আশাবাদী। যত যাই হোক প্রতিটি বাসিন্দাকে সর্বাবস্থায় শান্তি শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতি বজায় রেখে চলতে হবে।’
জেলা কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, ‘এনআরসি থেকে বাদ পড়াদের আগামীতে ট্রাইব্যুনালসহ সকল আইনি লড়াইয়ে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হবে। যে কারণে ৩১ আগস্ট দুপুর দুইটায় জেলা কংগ্রেস ভবনে ১৫ জন আইনজীবী নিয়ে গঠিত লিগ্যাল বিভাগ খোলা হচ্ছে। বিভাগটি আগামী ১২০ দিন পর্যন্ত চালু থাকবে। যেখানে বিনামূল্যে সকল আইনি পরামর্শ ও সেবা দেওয়া হবে।’
এ দিকে সূত্রের বরাতে কলকাতাভিত্তিক গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার পত্রিকা’ জানায়, এরই মধ্যে নানা মহলে গুঞ্জন উঠতে শুরু করেছে- চূড়ান্ত তালিকা থেকে বাদ পড়াদের এবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চালাবে ভারত। যদিও মার্কিন সাময়িকী ‘দ্য টাইম ম্যাগাজিন’ ইস্যুটিকে ভিন্নভাবে দেখছে। গণমাধ্যমটির দাবি, আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বাদ পড়াদের বাংলাদেশে পাঠানো না হলেও তাদের পরবর্তী ঠিকানা হতে পারে ভারতের অভ্যন্তরীণ বন্দি শিবির।
অপর দিকে কংগ্রেস বলছে, শনিবার দুপুর দুইটা থেকে পরবর্তী ১২০ দিনের জন্য কংগ্রেস ভবনে তারা যে লিগ্যাল বিভাগ বসিয়েছেন, তাতে আইনজীবী হোসেন লস্কর নেতৃত্ব দেবেন। যেখানে বিনা পারিশ্রমিকে বিপন্নদের পাশে দাঁড়াবেন ১০ জনের এই আইনজীবীর দল। দলের প্রধান লক্ষ্য প্রকৃত ভারতীয়রা যাতে এর মাধ্যমে ন্যায়বিচার পান, সে ব্যাপারে সব ধরনের আইনি সহযোগিতা নিশ্চিত করা।