মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে বরিশাল বিভাগকে মাদক মুক্ত করার জন্য সার্বক্ষণিক কাজ করে চলছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর’র কাজকে গতিশীল করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। আর মাদকের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়’র তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে আগস্ট- এই ৮ মাসে বরিশাল বিভাগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় কর্তৃক মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ২৩৪ টি। এই সকল মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ২৪৫। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে ৮ মাসে মোট উদ্ধার করা হয়েছে ৯ কেজি ৩২ গ্রাম গাঁজা, ৬ হাজার ৪ শত ৮৬ পিস ইয়াবা, ৪ শত ২ লিটার ডি.এস, ১৩ লিটার ৪শত মিলি লিটার আর.এস, ৬৮ লিটার চোলাই মদ, ২ বোতল ফেন্সিডিল, ১টি গাঁজা গাছ, ১ হাজার ৫ শত ৫০ লিটার ওয়াস এবং ৫০ লিটার তাড়ী। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ২৫টি। এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ২৫। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ কেজি ৮শত ১০ গ্রাম গাঁজা, ৯৫ টি ইয়াবা, ৫ লিটার ডি.এস, ১৩ লিটার ২ শত মিলি লিটার আর.এস। ফেব্রুয়ারি মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ৩৩টি।এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৩ জন। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ কেজি ৩শত ৬ গ্রাম গাঁজা, ৩শত ৮৪ পিস ইয়াবা, ৬০ লিটার ডি.এস, ২শত লিটার ওয়াশ এবং ১০ লিটার চোলাইমদ। মার্চ মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ২৭টি। এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ২৯ জন। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ কেজি ৪ শত গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৯শত ৭১পিস ইয়াবা, ১৩শত লিটার ওয়াশ, ৫০ লিটার তাড়ী এবং ১২ লিটার চোলাইমদ। এপ্রিল মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ৩১টি। এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৭জন। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে , ৫ শত ৭০ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৮শত ৬৩পিস ও গুঁড়া ১০ গ্রাম ইয়াবা, ৮ লিটার ডি.এস এবং ১৫ লিটার চোলাইমদ। মে মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ২৭টি। এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ৩০জন। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৯ শত ১৫ গ্রাম ও ৮ শত ১০ গ্রাম গাঁজা, ১টি গাঁজা গাছ, ৩শত ১৮পিস ইয়াবা, ৬৫ লিটার ডি.এস এবং ৫ লিটার চোলাইমদ।
জুন মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ২৩টি। এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ২৩জন।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে , ৭ শত ৯০ গ্রাম গাঁজা, ২শত ৩পিস ইয়াবা,৮৮ লিটার ডি.এস এবং ৯ লিটার চোলাইমদ এবং ২ বোতল ফেন্সিডিল। জুলাই মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ৩৪টি। এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৪জন।এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে , ৪ শত ২৬ গ্রাম গাঁজা, ১শত ৮৯পিস ইয়াবা,৫২ লিটার ডি.এস, ২০শত মিলি লিটার আর এস এবং ৯ লিটার চোলাইমদ,ওয়াশ ৫০ লিটার।
আগস্ট মাসে মাদক সংক্রান্ত মোট মামলা হয়েছে ৩৪টি। এই সকল মামলায় আসামির সংখ্যা ৩৪জন। এ সময় আসামিদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১ কেজি ৮ শত ১৫ গ্রাম গাঁজা, ১ হাজার ৪শত ৬৩ পিস ইয়াবা, ১ শত ২৪ লিটার ডি.এস, ৩০শত মিলি লিটার আর এস এবং ২০ লিটার চোলাইমদ, ওয়াশ ৫০ লিটার।
এ সম্পর্কে জানতে চাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়’র অতিরিক্ত পরিচালক এ এ এম হাফিজুর রহমান বরিশাল ক্রাইম নিউজকে জানান, আমরা আমাদের মতো করে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি এবং যাব। পুলিশ এবং র্যাব আমাদের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদক বিরোধী প্রচারণা অভিযান চালানো হচ্ছে। সবাই মিলে যার যার অবস্থান থেকে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে সবাই মিলে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।