ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষদের ব্যাপক সহায়তা করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস থেকে শুরু করে পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের জন্য দ্বার্থহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে।মূলত দক্ষিণাঞ্চলে নিরলস কাজ করে প্রশংসা কুড়িয়েছে শেখ হাসিনা সেনানিবাস তথা ৭ পদাতিক ডিভিশন। এই ডিভিশন ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ ১৪৩টি পরিবারকে দিয়েছেন নগদ অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা। তাছাড়া ঝড়ে বিধ্বস্ত ১০টি ঘর মেরামত করে দিয়েছেন সেনা সদস্যরা।
মূলত, ২০ মে বরিশালেও আঘাত হানে সুপার সাইক্লোন আম্পান। এই ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে প্রায় লন্ডভন্ড দক্ষিণাঞ্চল। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় ৬ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৬২ ইস্ট বেঙ্গলের নেতৃত্বে বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলায় একটি করে মোট ১০টি (ডিএমটি) দুর্যোগ মোকাবেলা দল ও একটি স্পেশাল টিম গঠন করা হয়।
যারা ঘূর্ণিঝড় কবলিত এবং ক্ষতিগ্রস্থদের বিষয়ে তাৎক্ষনিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। তারা বরিশাল জেলার সকল বেসামরিক প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধান করে ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় কাজ করেছেন।
শুধু ঘূর্ণিঝড়ের সময়েই নয়, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ব্যবস্থাপনাতেও দেখা মিলেছে দুর্যোগ মোকাবেলায় গঠিত ৬ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৬২ ইষ্ট বেংগলের নেতৃত্বাধিন টিমের কার্যক্রম। তারা আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ বরিশাল জেলার ১৪৩টি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের হাতে শুকনা খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ তুলে দিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে শুকনা খাদ্যসামগ্রী, খাবার স্যালাইন, বিশুদ্ধ পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট।
এদিকে শুধু খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থই নয়, ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত ১০টি ঘর নিজ হাতে মেরামতও করে দিয়েছেন শেখ হাসিনা সেনানিবাসের সদস্যরা। আর এই মেরামত কাজের আত্ত্বাবধান করেন ৬২ ইস্ট বেংগলের ক্যাপ্টেন আশ্ফান।
উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী বরিশাল জেলায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের শিকার হয়েছে প্রায় ৮ লক্ষ জনগণ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ঘর-বাড়ী। ৬ হাজার হেক্টর জমিতে ক্ষতিকর প্রভাবের পাশাপাশি বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে চিংড়িসহ বিভিন্ন মাছের ঘের ও খামার।