পিতা সন্তানকে স্বীকৃতি না দেয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা করেছেন সন্তানের মাতা। এমন ঘটনায় শহরে মূল আলোচনার বিষয়ে রূপ নিলেও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় অসহায় হয়ে আদালতের বারান্দায় ঘুরছেন ওই নারী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে ওই নারী গোপালগঞ্জ জেলার কাশীয়ানি উপজেলার ফুকরা সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন। মামলার আসামি মুন্সি রুহুল আসলাম একই উপজেলার সহকারি শিক্ষা অফিসার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। চাকুরি চলাকালীন আসামি আসলাম বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিক্ষিকাকে ডেকে তার ভাড়া বাসায় সহবাসে লিপ্ত করতে বাধ্য করে। পরে শিক্ষিকা তাকে বিভিন্নভাবে বিয়ের চাপ দিলে ২০১২ সালে বিয়ের কয়েক দিন পর কাবিন করার কথা বলে হুজুর ডেকে ধর্ম মোতাবেক বন্ধুর বাসায় বিবাহ করে আসলাম।২০১৪ সালে পুত্র সন্তান জন্ম নেয় তাদের।
কিন্তু পরে আর বিয়ের কাবিন করেননি আসলাম। উল্টো সময়-অসময়ে নির্যাতন ও যৌতুকের জন্য চাপ সৃস্টি করা হয়। কমপক্ষে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া না হলে বৌ হিসেবে মেনে নিবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়।
স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও তা না হওয়ায় ৯ এপ্রিল আদালতে মামলা করেন বাদী শাবিহা শারমিন। আদালত মামলা আমলে নিয়ে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও টাকার জোরে প্রকাশ্যে গোলাপগঞ্জ জেলার মকসদপুদ উপজেলায় শিক্ষা অফিসার হিসেবে রয়েছেন। পরে ৩ জুলাই আদালত ডিএনএ টেস্ট পর্যন্ত আসামীকে জামিন দেন।
বাদি পক্ষের দাবি, আসামি মুন্সি রুহুল আসলাম টাকা দিয়ে সব কাজ করিয়ে নেয়। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ডিএসএ টেস্টটি যেন সঠিকভাবে হয়। এ ছাড়া আসামির বিরুদ্ধে নারীঘটিত একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে মুন্সি রুহুল আসলামের নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিভিন্নভাবে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
মকসদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল জানান, হাইকোর্ট থেকে জামিন নেয়ার কারণে তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি।