মে ৪, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

দান-সাদকা পাওয়ার প্রথম হকদার কে?

দান-সাদকা অনেক বড় ইবাদত। দান-সাদকার ক্ষেত্রে কুরআন এবং হাদিসে অনেক খাত বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু দান-সাদকা পাওয়ার প্রথম হকদার কে? দান-সাদকা শুরু করতে হবে কাকে দিয়ে? কুরআন এবং হাদিসেও এর বিবরণ রয়েছে। হাদিসে পাকে প্রিয়নবি বর্ণনা করেন-

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘উত্তম সাদকা হলো তা, যা দান করার পর মানুষ অমুখাপেক্ষী থাকে (মানুষের স্বাভাবিক চাহিদা থাকে না)।

নিচের হাত থেকে উপরের হাত উত্তম। (তিনি আরো বলেন) যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে আছে তাদের আগে দাও।
(কেননা) স্ত্রী বলবে, হয় আমাকে খাবার দাও, নতুবা তালাক দাও। গোলাম বলবে, খাবার দাও এবং কাজ করাও। ছেলে বলবে আমাকে খাবার দাও। আমাকে তুমি কার কাছে ছেড়ে যাচ্ছ?

লোকেরা জিজ্ঞাসা করল হে আবু হুরায়রা! এ হাদিস আপনি কি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছেন?
তিনি উত্তরে বললেন, এটি (হাদিসটি) আবু হুরায়রার থলে থেকে (পাওয়া) নয়, (বরং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে)।’ (বুখারি)

অন্য একটি হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু আরো বর্ণনা করেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, উত্তম দান তা, যা দিয়ে মানুষ অভাবমুক্ত থাকে। আর যাদের ভরণ-পোষণ তোমার দায়িত্বে তাদের থেকে (দান করা) শুরু কর। (বুখারি)

সুতরাং দান করতে হবে পরিবার থেকে। প্রথমেই বাবা-মাকে দান করতে হবে। অতঃপর স্ত্রী-পুত্রকে। দাস-দাসি ও আত্মীয়-স্বজনকে। এভাবে পাড়া-প্রতিবেশি এভাবে পর্যায়ক্রমে দূরত্বে দান করতে হবে। এভাবে দান করার কথাই বর্ণিত হয়েছে আল্লাহর কুরআন এবং প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে। যা পালন করা উম্মতে মুহাম্মাদির জন্য একান্ত কর্তব্য।

হাদিসের শিক্ষা

দায়িত্বশীল ব্যক্তির উচিত প্রথমে পরিবার-পরিজনের চাহিদা মেটানো। যাতে তারা সর্বদা অভাবমুক্ত থাকে। যা কর্তা ব্যক্তির ওপর ওয়াজিব।

মৃত্যুর সময় ওয়ারিশদেরকে স্বচ্চল অবস্থায় রেখে যাওয়া। যাতে করে অভিভাবকের মৃত্যুর পর ওয়ারিশ (ছেলে-সন্তান, স্ত্রী ও বাবা-মা) কারো মুখাপেক্ষী হতে না হয়।

প্রতিটি দানই সাদকার সাওয়াব লাভ করবে।

সর্বোত্তম দানের পরিমান হলো সেটি, যে দান পেলে স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ হয়ে যায়।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসের শিক্ষা নিজেদের বাস্তব জীবনে আমল করার তাওফিক দান করুন। বেশি বেশি দান-সাদকা করার তাওফিক দান করুন। নিজেদের বাবা-মা, সন্তান, স্ত্রী ও আত্মীয়-স্বজনদের জন্য ব্যয়ের মাধ্যমে দান শুরু করার তাওফিক দান করুন।

আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official