হজ একটি ফরজ বিধান। ইসলামের পাঁচ স্তম্ভের একটি হজ। ব্যক্তির উপর হজ ফরজ হয়; প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক সম্পন্ন, যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের বাসস্থান ও ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এ পরিমাণ টাকা, স্বর্ণ-রূপা বা জমিজমা রয়েছে যা দ্বারা মক্কা শরিফে যাতায়াত ব্যয় এবং হজকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, পবিত্র কুরআন ও হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী তার উপর হজ আদায় করা ফরজ।
হজ জীবনে একবারই ফরজ হয়। একবার ফরজ হজ আদায়ের পর পরবর্তীতে হজ করলে তা হবে নফল। হজ ফরজ হবার পর তা না আদায় করলে ফরজ ছেড়ে দেয়ার কবিরা গুনাহ হবে। কুরআনের আয়াত- ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর উদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ করা ফরজ। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিত যে, আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন। (সূরা আলে ইমরান : ৯৭)
যারা ফরজ হজ আদায় করতে চায় না, তাদের ব্যপারে রাগান্বিত হয়ে হুজুর সা. বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ করার সামর্থ্য রাখে তবুও হজ করে না; সে ইহুদি হয়ে মৃত্যুবরণ করলো নাকি খ্রিস্টান হয়ে, তার কোনো পরওয়া আল্লাহর নেই। (তাফসিরে ইবনে কাসির ১/৫৭৮)