29 C
Dhaka
এপ্রিল ৩০, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

যে কাজে ইহরাম ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও ভেঙে যায়

হজ ও ওমরাহ পালনকারীর ইহরাম যৌনাচার ও যৌন মিলনে ভেঙে যাবে। বাতিল হয়ে যাবে ইহরাম। পুনরায় তাকে ইহরাম বাঁধতে হবে। এ ছাড়াও ইহরাম অবস্থায় অনেকগুলো কাজ আছে যেগুলোর জন্য ইহরাম ভাঙবে না কিন্তু ফিদইয়া দেয়া ওয়াজিব হয়ে যাবে।

আবার কেউ যদি নিজের অজ্ঞতাবশত কিংবা ভুলে বা ঘুমের ঘোরে ইহরামের জন্য নিষিদ্ধ কাজ করে ফেলে, তবে তার জন্য যেমন কোনো গোনাহ নেই আবার এর জন্য ফিদইয়াও দিতে হবে না।

ইহরাম অবস্থায় সেসব নিষিদ্ধ কাজগুলো হলো-
>> ইহরামের কাপড়ে সুগন্ধি ব্যবহার করা। তবে দেহে সুগন্ধি ব্যবহারে দোষ নেই।
>> স্ত্রী-পুরুষ উভয়ের জন্যই মাথার চুল এবং যে কোনো উপায়ে শরীরের যে কোনো স্থানের পশম ওঠানো।
>> হাত ও পায়ের নখ কাটা।
>> পশু-পাখী কিংবা যে কোনো প্রাণী শিকার করা। এমনকি শিকার ধরতে শিকারিকে ইশারা-ইঙ্গিতে সহযোগিতা করা। তবে ক্ষতিকর হিংস্র জীব-জন্ত বা পাণী মারার অনুমতি রয়েছে।
>> যাবতীয় যৌনচার, ও যৌন মিলন একেবারেই নিষিদ্ধ। কারণ যৌনাচারের কারণে ইহরাম ভেঙে যাবে। ফলে পুনরায় ইহরাম বাধতে হবে। নতুবা হজ ও ওমরা হবে। এছাড়াও বিয়ের প্রস্তাব, বিয়ের আক্বদ বা যৌন আলোচনা করাও নিষেধ।
>> পুরুষের জন্য পাগড়ি, টুপি ও রুমাল ব্যবহার করা। তবে প্রচণ্ড গরম কিংবা বৃষ্টিতে ছাতা বা ছাতা সাদৃশ্য জিনিস ব্যবহার করায় দোষ নেই।
>> পুরুষের জন্য কোনো প্রকার সেলাই করা কাপড় পরা। হতে পারে তা জুব্বা, পাঞ্জাবি, শার্ট, গেঞ্জি ও মোজা ইত্যাদি সেলাই করা কাপড় পরা। তবে তালি বা পট্টি লাগানো ইহরামের কাপড় পরায় কোনো দোষ নেই।
>> নারীদের জন্য মুখ ঢাকা এবং হাত মোজা ব্যবহার করা। তবে নারীরা মুখ থেকে কাপড় আলাদা রাখতে হেলমেট ব্যবহার করে নিকাব পড়ায় কোনো দোষ নেই। কেননা পর পুরুষের সামনে মুখ ঢেকে রাখা ওয়াজিব।
>> ইহরাম অবস্থায় ঝগড়া-বিবাদ করা এবং ইসলামি শরিয়ত বিরোধী যে কোনো বাজে কথা বলা ও বাজে কাজ করা।

মনে রাখতে হবে
ইহরামের মূল উদ্দেশ্য হলো, দুনিয়ার সব চাকচিক্য সাজ-সজ্জা থেকে নিজেকে বিরত রেখে একান্তভাবে আল্লাহর দিকে ধাবিত হওয়া। আবার পুরুষের সেলাইবিহীন কাপড় পরার উদ্দেশ্য হলো সব জৌলুস ও প্রদর্শনী থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ ও নিবেদত প্রাণ হয়ে যাওয়া। যেখানে দুনিয়ার কোনো লোভ কিংবা মোহ থাকবে না।

সুতরাং হজ ও ওমরাহ পালনকারীদের জন্য ইহরামের নিষিদ্ধ বিষয়গুলো থেকে হেফাজত থাকা জরুরি। কারণ ইহরাম বাতিল ও ক্ষতিগ্রস্ত হলে হজের প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধনে বাধাগ্রস্ত হবে হাজি।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহর সব হজ পালনকারীকে বিশুদ্ধ ইহরামে হজ ও ওমরাহ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official