28 C
Dhaka
জুলাই ৬, ২০২৫
Bangla Online News Banglarmukh24.com
ইসলাম ধর্ম

ইহরাম ও তালবিয়ায় যে প্রতিদান পাবেন মুমিন

হজ ও ওমরার সফরের সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় পরে ইহরাম অবস্থায় থাকা এবং তালবিয়া পড়ায় রয়েছে অসামান্য প্রতিদিন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিসে পাকে সুস্পষ্ট ভাষায় তা বর্ণনা করেন।

হজ ও ওমরা পালনকারীর জন্য ইহরাম ও তালবিয়া দু’টি আমলই অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। হজ ও ওমরার জন্য সেলাইবিহীন দুই কাপড় পরে ইহরাম যেমন আবশ্যক। তেমনি ইহরামের পর এক বার তালবিয়া পড়া হজ ও ওমরার জন্য শর্ত।

আর বার বার তালবিয়া পাঠকারীর জন্য রয়েছে সরাসরি জান্নাতের সুসংবাদ। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লোমের বর্ণনায় ইহরাম ও তালবিয়ার ফজিলত সুস্পষ্ট। হাদিসে এসেছে-

>> হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোনো মুমিন যখন ইহরাম অবস্থায় দিন কাটাবে, তখন সূর্য তার সব গোনাহ নিয়ে অস্ত (ডুবে) যাবে। আর যখন কোনো মুসলিম আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে হজের তালবিয়া পাঠ করবে তখন তার ডানে-বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত সবকিছুই তার পক্ষে সাক্ষ্য দিবে।’ (তিরমিজি, তারগিব)

>> হজরত সাহল ইবনে সাদ আস-সায়েদি রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন কোনো ব্যক্তি যখন তালবিয়া পাঠ করে তখন তার ডানে ও বামে পৃথিবীর শেষ প্রান্ত পর্যন্ত যা কিছু আছে; যেমন- গাছপালা, মাটি, পাথর সব কিছু (তালবিয়া পাঠকারীর সঙ্গে সঙ্গে) তালবিয়া পড়তে থাকে।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ)

>> হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে কেউ তালবিয়া পাঠ করবে তাকে সুসংবাদ দেয়া হবে। আর যে কেউ তাকবির বলবে তাকে সুসংবাদ দেয়া হবে। (সুসংবাদ সম্পর্কে) জানতে চাওয়া হলো- ইয়া রাসুলাল্লাহ! জান্নাতের সুসংবাদ? উত্তরে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ’। (তাবারানি, তারগিব)

সুতরাং হজের সফরে হজ পালনকারীদের উচিত বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। তালবিয়া পড়ার সময় তা ৪ নিঃশ্বাসে পুরুষরা উচ্চ স্বরে আর নারীরা নিম্নস্বরে পড়বেন-
لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ – لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ – اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ – لاَ شَرِيْكَ لَكَ
উচ্চারণ : ‘লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নি’মাতা লাকা ওয়াল মুল্ক, লা শারিকা লাক।’

অর্থ : ‘আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত, আমি হাজির; তোমার কোনো অংশীদার নেই; আমি উপস্থিত, নিশ্চয় যাবতীয় প্রশংসা; অনুগ্রহ ও সম্রাজ্য সবই তোমার, তোমার কোনো অংশীদার নেই।’ (মুয়াত্তা, তিরমিজি)

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত হজ ও ওমরার সফরে ইহরাম অবস্থায় থাকার ও তালবিয়া পাঠের ফজিলত দান করুন। হজ পালনকারীদের হজ ও ওমরাকে কবুল করুন। আমিন।

সম্পর্কিত পোস্ট

রোজা রেখে আতর-পারফিউম ব্যবহার করা যাবে?

banglarmukh official

গর্ভবতী নারীর রোজার মাসয়ালা

banglarmukh official

তারাবির নামাজ ছুটে গেলে করণীয়

banglarmukh official

রোজা অবস্থায় কি দাঁত ব্রাশ করা যাবে?

banglarmukh official

চাঁদ দেখা গেছে, সৌদি আরবে রোজা শুরু শনিবার

banglarmukh official

শাবান মাসে কত তারিখ পর্যন্ত রোজা রাখা যাবে

banglarmukh official